কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চলতি মাসের ২৬ দিনে ১০৮ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
Published : 29 Sep 2014, 10:25 PM
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে প্রবাসীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি টাকা পাঠিয়েছেন। তাই রেমিটেন্স বেড়েছে।
“আমরা প্রত্যাশা করছি চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।”
রোজার মাসকে সামনে রেখে গত জুলাই মাসে ১৪৯ কোটি ১৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল এক মাসের হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।
অগাস্ট মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ১১৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
রিজার্ভ ২১.৭৭ বিলিয়ন ডলার
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদও (রিজার্ভ) বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন (দুই হাজার ১৭৭ কোটি) ডলার।
এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় সাত মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব বলে জানান ছাইদুর রহমান।
গত ৭ অগাস্ট প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার মজুদ ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-অগাষ্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর তা ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
আগামী কিছু দিনের মধ্যে রিজার্ভ ফের ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ছাইদুর রহমান।
প্রতি দুই মাস অন্তর আকুর বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে তা ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।