ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের সমস্যা দূর করতে এবং বেকারত্ব কমাতে সহজে ও স্বল্প সুদে মূলধন যোগান দেয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
Published : 04 Apr 2014, 08:19 PM
তারা মনে করেন, সহজে ও স্বল্প সুদে মূলধনের ব্যবস্থা করা হলে অনেক বেকার নারী-পুরুষ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এগিয়ে আসবে।
পাশাপাশি পণ্যের বৈচিত্রকরণ, বাজারজাতকরণ, ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সহজ যোগাযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তৃতীয় জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তারা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাঁচ দিনের এই মেলা উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ইহসানুল করিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
মেলায় অংশ নেয়া মেখুলা ফ্যাশন হাউসের স্বত্তাধিকারী সেবা নওরীন পলি বলেন, “আমাদের প্রধান সমস্যা পণ্য বাজারজাতকরণে। এছাড়া মূলধনের সমস্যাও রয়েছে। সহজে পর্যাপ্ত মূলধনের ব্যবস্থা করা হলে অনেকেই এসএমই খাতে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পেত।”
ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সহজ যোগাযোগ স্থাপন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ফরচুন টেক-এর প্রধান নির্বাহী আনিসুল ইসলাম সুমন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রেতা গোষ্ঠীর কাছে তার প্রচার নেই। উদ্যোক্তারা নিজস্ব উদ্যোগে তা করতেও পারছে না। এক্ষেত্রে সরকার এগিয়ে আসতে পারে।”
এক্ষেত্রে ইন্টারনেটভিত্তিক উদ্যোগ সময়োপোযোগী হবে বলে মনে করেন তিনি।
উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করাকেই অন্যতম সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে অধিকাংশ উদ্যোক্তা পণ্য বিপণনের জন্য ম্যাচ-মেকিং কর্মসূচির আয়োজন, তথ্যসেবা প্রদান, ই-ক্যাটালগ ও ওয়েবসাইট তৈরিতে সহায়তা দেয়াসহ এসমইখাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির আমু বলেন, “দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারাই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। শিল্পায়নের জন্য তাদের উদ্ভাবনী প্রতিভা ও কৌশল কাজে লাগাতে হবে।”
এ লক্ষ্যে উদ্যোক্তাবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে এসএমই ফাউন্ডেশনকে পরামর্শ দেন তিনি।
এসএমই মেলা চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। মেলায় ১৫০ জন উদ্যোক্তার স্টল রয়েছে।
এসব স্টলে পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশন ওয়্যার, হস্তশিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, গৃহস্থালী দ্রব্য, প্লাস্টিক ও সিন্থেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যসহ অন্যান্য দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এজন্য কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না।