পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের তিন জেলায় প্রায় আড়াই হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আর জমির দাম বাবদ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় এক হাজার ১৪ কোটি টাকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা।
Published : 24 Jun 2013, 07:54 AM
বিএনপির এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সোমবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান।
রেজাউল করিম হীরা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে মোট দুই হাজার ৪৫২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুম দখল করা হয়েছে।
“অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের মোট এক হাজার ১৩ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার টাকা দেয়া হবে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৫৩২ জনকে পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।”
বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ২৯১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে বিশ্ব ব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে চলতি বছরের শুরুতে এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ করে বাংলাদেশ।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়। আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে এ প্রকল্পে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দও রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে চলতি মাসেই ৯ হাজার ১৭২ কোটি টাকার দরপত্র ডাকা হবে।
বিএনপির রেহানা আক্তার রানুর এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এক লাখ ২৭ হাজার ৪৭টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ৬২ হাজার ২০১ একর খাসজমি বণ্টন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের আব্দুর রহমান বদির আরেক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরাদেশে মোট খাসজমির পরিমাণ ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮০ একর। এর মধ্যে কৃষি খাস জমি ১১ লাখ ৩০ হাজার ৪৫৫ একর; অকৃষি জমি ৬ লাখ ৩৬ হাজার ২২৫ একর।
সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়নের করার পর এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে ৮৬ হাজার ৫৩২টি এবং কমিটিতে এক লাখ ৬৭ হাজার ৩১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাত হাজার ৬২২টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।
বিএনপির আরেক সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনির প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের জন্য সরকারকে ২৭ থেকে ৩২ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়।