আরও আড়াই লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন

শুল্ক কমিয়ে আনার পর বেসরকারি পর্যায়ে আরও আড়াই লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2022, 02:48 PM
Updated : 4 July 2022, 02:48 PM

সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ১২৫টি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়; যেসব প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে দুই লাখ চার হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং ৪২ হাজার টন আতপ চাল আমদানির বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গত মে মাসে বোরো মৌসুমের নতুন ধান বাজারে আসতে শুরু করলেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়ে। এতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

গত ২৬ জুন আগ্রহী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র আহ্বানের পর ৩০ জুন চার লাখ নয় হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

প্রথম ধাপে বরাদ্দ প্রাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চাল আমদানির এলসি খুলে সেই তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া ১১ অগাস্টের মধ্যে আমদানি করা চাল বাজারজাত করতে হবে।

দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এলসি খোলা এবং ১৭ অগাস্টের মধ্যে সব চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে আমদানি করা চাল গুদামজাত করার তথ্য জেলা প্রশাসককে জানানো, আমদানির পর সেই চাল স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত না করা এবং আমদানির বস্তায় রেখেই বিক্রি করা।

আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসি খুলতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্তে উল্লেখ আছে।

গত দুই মাস ধরে সরু চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মাঝারি ও মোটা চালের দামও।

বর্তমানে বাজারে মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক দফার পর্যালোচনার পর গত ২৫ জুন চাল আমদানিতে বিদ্যমান ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক, ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং ৫ শতাংশ অ্যাডভান্সড ট্রেড ভ্যাটসহ (এটিভি) মোট ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছিল।

এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর নিয়ন্ত্রণমূলক আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অগ্রিম কর হিসেবে ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন-