শুল্ক কমানোর পর ৪ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি

শুল্ক কমানোর পর বেসরকারি উদ্যোগে চার লাখ নয় হাজার টন চাল আমদানি করতে ৯৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2022, 09:43 AM
Updated : 3 July 2022, 10:31 AM

এই অনুমোদনের ভিত্তিতে ৩০ হাজার টন আতপ চাল এবং তিন লাখ ৭৯ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

বোরো মৌসুম শুরু হওয়ার পরও দেশের বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

গত ২৬ জুন আগ্রহী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র আহ্বানের পর ৩০ জুন চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের তালিকা প্রকাশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

বরাদ্দ প্রাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে চাল আমদানির এলসি চালু করে সেই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া ১১ অগাস্টের মধ্যে আমদানি করা চাল বাজারজাত করতে হবে।

আমদানি করা চাল গুদামজাত করার তথ্য জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। আমদানির পর সেই চাল স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেট করা যাবে না, আমদানির বস্তায় বিক্রি করতে হবে।

আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসি চালু করতে না পারলে বরাদ্দ আদেশ বাতিল হয়ে যাবে।

গত দুই মাস ধরে সরু চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মাঝারি ও মোটা চালের দাম।

বর্তমানে বাজারে মোটা চাল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা এবং মাঝারি চাল ৫৫ টাকা থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক দফার পর্যালোচনার পর গত ২৫ জুন চাল আমদানিতে বিদ্যমান ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক, ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং ৫ শতাংশ অ্যাডভান্সড ট্রেড ভ্যাটসহ (এটিভি) মোট ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছিল।

এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর নিয়ন্ত্রণমূলক আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অগ্রিম কর হিসেবে ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।