রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের গত ১২ ও ১৬ মে এর সার্কুলার মেনে ব্যাংকগুলোকে এসব ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ২০১৮ এর নীতিমালা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধযোগ্য রেজিস্ট্রেশন বা অংশগ্রহণ ফি প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, দেশে অবস্থিত সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী, ব্যাংকিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অনুষদ সদস্য, বাংলাদেশে নিবন্ধিত ও কর্মরত কোম্পানি, ফার্ম, ইনস্টিটিউট, এনজিও যারা বাংলাদেশের আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে; তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
গত ১২ ও ১৬ মে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করার আদেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সার্কুলারের পরে এখন তাদের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারবে না ব্যাংক।
বিদেশে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নিতে অংশগ্রহণ ফি বাবদ ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারে।
ভ্রমণ সীমিত করতে কড়াকড়ি আরোপ করার সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
রোববার আরেক সার্কুলারে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করা হয়।
আরও পড়ুন: