আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলে খেলাপি নয়

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের কিস্তিও আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে না।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2020, 10:52 AM
Updated : 26 August 2020, 10:52 AM

এর আগে গত ২৪ মার্চ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারীর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ায় আরও তিন মাস বর্ধিত করা হয়েছে এই সময়।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব বিবেচনায় গত ২৪ মার্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ/লিজ/অগ্রিম শ্রেণিকরণের বিষয়ে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখনও কোভিড-১৯ এর কারণে অনেকাংশে ঋণ/লিজ/অগ্রীম গ্রহীতার পক্ষে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাই ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব লাঘবের জন্য নিচের নির্দেশনাগুলো অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হল-

>> গত ২৪ মার্চ জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করা হল।

>> বিদ্যমান সকল মেয়াদী (স্বল্প ও দীর্ঘ) ঋণ/লিজ/অগ্রীমের বিপরীতে ১ জানুয়ারি ২০২০ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিসমূহ ডেফার্ড হিসেবে বিবেচনাপূর্বক অক্টোবর ২০২০ হতে সংশ্লিষ্ট ঋণ/লিজ/অগ্রীমের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হবে। অর্থাৎ জানুয়ারি ২০২০ হতে সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত যতোসংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে সমসংখ্যাক কিস্তি বৃদ্ধিপূর্বক পরিশোধসূচি পুনঃপ্রণয়ন করতে হবে।

>> ঋণ/লিজ/অগ্রীমের উপর সুদ/মুনাফা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে। তবে ওই সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি/চার্জ/কমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।