সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনজিওর কিস্তি না দিলেও খেলাপি নয়

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মতো এনজিওর ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে না।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2020, 07:45 PM
Updated : 23 June 2020, 07:45 PM

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল এনজিওদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি-এমআরএ।

মহামারীর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ায় মঙ্গলবার আরও তিন মাস বর্ধিত করা হয়েছে এই সময়। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কোনো ঋণের শ্রেণিমান পরিবর্তন করা যাবে না।

মঙ্গলবার এমআরএ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাস মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় গত ২২ মার্চের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ১ জানুয়ারি ২০২০ ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

নতুন নির্দেশনার ফলে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণ শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণি মানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

এমআরএ’র নতুন সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রাহকদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ২২ মার্চ সার্কুলারের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমাণে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অর্থাৎ এ সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না। তবে কোনও ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।

“করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।

“এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।”

সার্কুলারে আরও বলা হয়, এই মহামারীকালে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনও আগ্রহী সক্ষম গ্রাহক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনও বাধা থাকবে না।