অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এনবিআর চেয়ারম্যান ১ জুলাই থেকে ডিভাইসগুলো সরবরাহ করার কথা বলেছিলেন। তার কথায় ‘বিশ্বাস’ও করেছিলেন তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন মুস্তফা কামাল।
রাজস্ব আয় নিয়ে উদ্বেগের কিছু আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আয়কর খাতে রাজস্ব অনেক বেড়েছে। ট্যাক্স রেভিনিউ কম আছে। তবে নির্ধারিত সময়ে সেটা আমরা পূরণ করতে পারব। বছরের শেষে আমরা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে সেটা অর্জন করতে পারব।”
গত তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রবৃদ্ধিটা বেশি হচ্ছে না, তবে সেটা হবে। গ্রোথ হওয়ার মূল জায়গা হচ্ছে ভ্যাট। কিন্তু ভ্যাট আদায়ের জন্য আমরা এখনও মেশিনই বসাতে পারিনি। মেশিন বসালে আমরা জনবল দিতাম, তারপর সংগ্রহ করতাম।
“আমাকে কিন্তু জানানো হয়েছে জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে মেশিনগুলো সরবরাহ করা হবে। কিন্তু দুঃখজনক হল, এখনও আমরা মেশিনগুলো পাইনি। আমি আশা করি এখন মেশিন আসবে, বসবে, এনবিআর চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই মেশিন সরবরাহ করা হবে।”
“আমি যেদিন শপথ নিয়েছি সেদিনই প্রথমে আমি এ অফিসে আসি। আমি প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ে মিটিং করি বাসায় যাবার আগে। তিনি সে দিনই বলেছিলেন জুলাই মাসের ১ তারিখে বাজেট যখন হবে আমি বলেছিলাম নতুন আইডিয়া যুক্ত করব। বাজেটে এ আইটেম যুক্ত করব এবার। মেশিনগুলো সরবরাহ করবে বলে তিনি বলেছিলেন, কিন্তু আনফরচুনেটলি তিনি মেশিনগুলো সরবরাহ করতে পারেননি।”
এনবিআর চেয়ারম্যানের না পারাটা আপনার না পারা হিসেবে গণ্য হবে কি না প্রশ্ন করা হলে মুস্তফা কামাল বলেন, “আমি অস্বীকার করছি না।”
ডিভাইসগুলো কেন আসেনি তা খতিয়ে দেখা হবে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা আমি জানি। খতিয়ে দেখেন আপনারা। আমিতো জেনেই গেছি। আর খতিয়ে দেখব কেন?
“হতাশাজনক কোনো জিনিস বাংলাদেশে নেই। বছর শেষে প্রত্যেকটা খাতেই সফলতার স্বাক্ষর থাকবে। প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব যতটা লস করব, পরের ছয় মাসে সেটা আদায় করে নেব।“