সরকার ব্যাংকিং খাতের সংস্কার করতে চাইলেও উন্নয়নের ধারা ঠিক রাখতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপস করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
Published : 09 Nov 2019, 03:32 PM
শনিবার বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ব্যাংকিং খাত। এই খাতের সংস্কার সরকার অবশ্যই করবে, এ বিষয়ে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। তবে উন্নয়নের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকেও কম্প্রমাইজ করতে হয়।”
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা মোহা. আজিজুল ইসলাম সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার, নির্বাহী পিরচালক আহসান এইচ মনসুর, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান এবং সানেম নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বিশেষ করে দেশের আর্থিকখাতগুলোর সংস্কারের প্রয়োজন আছে এটা আমরা স্বীকার করি। তবে চলমান উন্নয়ন থেমে যাওয়ার ভয় রয়েছে। বর্তমান উন্নয়ন ধরে রেখে সরকার নীতিগত সংস্কারের কাজ করছে।”
ব্যাংকের সুদ হার, খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি বেসরকারি বিনিয়োগের অন্যতম বাধা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইএনএম নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আর্থিক খাত। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির মুখে অর্থনীতি। এই সমস্যার সমাধানে শক্তিশালী শেয়রবাজার, বন্ড মার্কেট এবং সরকারি পর্যায় থেকে নীতিগত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নয়নে পোশাক খাত ছাড়াও রপ্তানি বহুমূকীকরণের জন্য বৈচিত্র আনতে হবে। পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণের কোনো বিকল্প নেই।”
এছাড়াও সেবা ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হতে হবে বলে জানান তিনি।
রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের সম্ভাবনাময় বাজারগুলো ধরতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।