বেনাপোল শুল্কভবনের ডেপুটি কমিশনার সাইদ আহম্মেদ রুবেল জানান, শুল্কমুক্ত পণ্য ও কম শুল্কযুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হওয়ায় আমদানির পরিমাণ বাড়লেও রাজস্ব আদায় কমে গেছে।
এ বছর প্রথম ১০ মাসে ৩৬৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আদায় হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকা।
“গত বছর এই সময়ের মধ্যে আমদানি হয় ১০ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিকটন। আর এ বছর আমদানি হয়েছে ১৪ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিকটন।”
তবে এর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, “কাস্টমস বিভাগ ও বিজিবির হয়রানির কারণে এ বন্দরে উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি কমে গেছে।”
তিনি বলেন, “বেনাপোল বন্দরে ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী অন্য বন্দর ব্যবহার করছেন। এ কারণে এখানে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছে।”
প্রতিকূল অবস্থাটা কেমন তা তিনি সুনির্দিষ্ট করে বলতে চাননি।
হয়রানির বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী হয়রানির অভিযোগ নাকচ করে বলেন, “সুনির্দিষ্ট নিয়মেই শুল্ক আদায় করা হয়। নিয়মের কড়াকড়ির কারণে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কারণে ব্যবসায়ীরা আমাদের দুষছেন।”