রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের উন্নতির জন্য হুমকি: বার্নিকাট

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও তা যে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে, সেই সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2018, 02:01 PM
Updated : 18 April 2018, 02:01 PM

বুধবার উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সরেজমিন পরিদর্শনের পর এই পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

বার্নিকাট বলেন, এক বছরেরও কম সময়ে রোহিঙ্গা সংকটে বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এটা যে কোনো দেশের জিডিপি দুই শতাংশের বেশি কমিয়ে দিতে পারে। হয়ত বিদেশি দাতাদের জন্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা এখনও ঘটেনি।

বাংলাদেশে আগে থেকে ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা ছিল, তার সঙ্গে গত বছরের অগাস্ট থেকে এই পর্যন্ত যোগ হয়েছে সাত লাখের বেশি।

মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা এই সব রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিলেও তাদের দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থানের সমস্যার কথা বলে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল  মুহিত একাধিকবার ক্ষোভে সঙ্গে বলেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে চাইছে।

‘প্রত্যাবাসন হয়নি’

সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান নেওয়া এক রোহিঙ্গা পরিবারের সম্প্রতি মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াকে প্রত্যাবাসন মনে করছেন না যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটও।

তিনি বলেন, ওই পরিবার কখনও বাংলাদেশে ঢোকেইনি। তাই এটা প্রত্যাবাসন হবে না। কারণ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসনের যে চুক্তি হয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ ওই ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও প্রক্রিয়ায়  কোনো গতি নেই। 

এর মধ্যে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে শূন্য রেখায় থাকা একটি রোহিঙ্গা পরিবার গত শনিবার রাখাইনে মিয়ানমার সরকারের আশ্রয় কেন্দ্রে ফিরে গেলে তাকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হিসেবে দেখানো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।

তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়, ওই পরিবারটির ফেরত যাওয়া প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ঘটেনি।