এ উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালকের ভাষ্য।
Published : 25 Nov 2022, 09:49 PM
প্রন্তিক এলাকার জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করাসহ স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’ প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্ণ করেছে।
বিগত সময়ে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে সামনে এগোনোর প্রত্যয় জানাতে সংস্থাটি শুক্রবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে।
সেখানে নিজেদের সফলতার গল্পগুলো তুলে ধরে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রুনা খান দাবি করেন, প্রান্তিক এলাকার প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ তাদের কাজ থেকে উপকৃত হচ্ছে।
আগামী দিনেও এসব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়ন, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রুনা খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর বর্তমানে ফ্রেন্ডশিপে কাজ করছে তিন হাজারের বেশি কর্মী, যাদের ৫০ শতাংশই স্থানীয় বাসিন্দা। এছাড়া রয়েছে আন্তর্জাতিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
“দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি সংস্থাটি সেখানকার জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার এমন জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সফলতার মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ফ্রেন্ডশিপ,” বলেন নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, “আমি একটি ভিশন নিয়ে শুরু করেছিলাম। আমি শুধু মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার একমাত্র টার্গেট।
“আমি তাদের কষ্ট সহ্য করতে পারিনি এবং আমি অন্যায় সহ্য করতে পারিনি। আমি এটাও সহ্য করতে পারিনি যে, আমাদের অনেক কিছুই আছে কিন্তু তাদের কিছু নেই। ফ্রেন্ডশিপের সূচনা আসলে হৃদয় থেকে।”
রুনা খান বলেন, “মানুষের চাহিদা আছে, খুব প্রয়োজনীয় চাহিদা আছে এবং সে কারণেই আমাদের চেষ্টা করে যেতে হয়। আমরা যে জায়গাগুলোতে কাজ শুরু করেছি সেখানে পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন ছিল।
“আমরা যখন শুরু করি তখন সেখানে আর কেউ ছিল না। আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”
ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশ- এর বোর্ড অব চেয়ার সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্রেন্ডশিপের বিশেষত্ব তার নামের মধ্যেই আছে। তারা কাজ করে ‘সত্যিকারের বন্ধুর মত’।
ফ্রেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনাল- এর কো-চেয়ার মার্ক এলভিনগার বলেন, “ফ্রেন্ডশিপ এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে।”
সংস্থার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চরের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রদর্শনী এবং ‘বিয়ে পাগলা’ শীর্ষক চর থিয়েটারের একটি নাটিকা প্রদর্শিত হয় সংবাদ সম্মেলনে।