ব্যাংকাররা বলছেন, এতে বাড়বে ব্যাংক ঋণের সুদহার, বাড়বে কলমানিতে টাকা ধার করার খরচও।
Published : 25 Aug 2024, 10:16 PM
‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা’র অংশ হিসেবে ‘নীতি সুদহার’ হিসেবে পরিচিত রেপো সুদহার আরেক দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি পলিসির কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন নীতি সুদহার ৯ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে মঙ্গলবার।
গত ৮ অগাস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতিবিদ আহসান এই মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করার পর প্রথমবারের মত নীতি সুদহার বাড়ানো হল।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদেরকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে তারল্য সংকটে পড়া কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে টাকা ধার করবে, তার বিপরীতে আগের চেয়ে বেশি সুদ গুনতে হবে। অর্থাৎ সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহে আরও চাপ বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখলে তারা আগের চেয়ে বেশি সুদ পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিলেও আগের চেয়ে বেশি সুদ দিতে হবে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এতে বাড়বে ব্যাংক ঋণের সুদহার, বাড়বে কলমানিতে টাকা ধার করার খরচও।
স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহারও ১০ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। নীতি করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৭ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার চলতি বছর মে মাসে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির অংশ হিসেবে একদিন মেয়াদি রেপোর সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ করেছিল।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় জুলাই মাসে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এই পরামর্শ গ্রহণ করেননি।
গত ১৪ অগাস্ট গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বাড়ানো হবে।”