“আশা করা যায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে,” বলেন তিনি।
Published : 03 Jul 2024, 07:58 PM
আগামী এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “পেট্রোবাংলার অধীনে রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ওপর উন্নত বিশ্বের চলমান অধিকতর গবেষণার ফলাফল ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে।
“আশা করা যায় ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার সম্ভব হবে।”
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনে এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন সরকারপ্রধান।
দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, জাপান, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মত দেশগুলো দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণে কাজ শুরু করেছে আগেই। আর বাংলাদেশে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করার প্রস্তুতি শুরু হয় ২০১৭ সালে, হাইড্রোজেন এনার্জি ল্যাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।
৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে ১৪ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর হাইড্রোজেন গবেষণাগার ও ভৌত অবকাঠামো ও পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করা হয়।
বাণিজ্যিক উৎপাদন সফল হলে মিথেন বা এলএনজির বিকল্প হিসেবে যানবাহন, বাসাবাড়ি ও কারখানায় হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা যাবে, উৎপাদন করা যাবে বিদ্যুৎ। অপরদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে হাইড্রোজেন গ্যাসের ব্যবহার বাড়লে কমবে দূষণ।
সংসদে ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজমের আরেক প্রশ্নের জবাবে দেশে সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ধনী-গরীব নির্বিশেষে সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। ২০০৯ সাল থেকে অধস্তন আদালতে ১ হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
‘আশ্রয়ণের সুবিধাভোগী ৪৩ লাখ’
সরকারদলীয় আরেক এমপির প্রশ্নের জবাবে দেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের চিত্র তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
ফেনী-১ আসনের এমপি আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এতে উপকারভোগী মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি।
“এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছি। ব্যারাক হাউজ ছাড়াও আমরা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৩টি পরিবারকে নিজ জমিতে বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণ করে দেই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫টি পরিবারের কাছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ২ শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর হস্তান্তর করেছি। মুজিববর্ষে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
“ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে জমির মালিকানাসহ ঘর করে দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ৬ হাজার ৯৪৫ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা।
পুরনো খবর-