তিনি বলেন, “এ অর্থের যেন অপচয় না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। পূর্বে অনেক অর্থ অপচয় হয়েছে। জনগণের অর্থ আর অপচয় হতে দেওয়া হবে না।”
Published : 05 Sep 2024, 05:17 PM
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে তিন বিলিয়ন অর্থ সহায়তা চাওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করতে এসে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এ অর্থের যেন অপচয় না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। পূর্বে অনেক অর্থ অপচয় হয়েছে। জনগণের অর্থ আর অপচয় হতে দেওয়া হবে না।”
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট সামাল দিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। সেজন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারের শর্ত বাংলাদেশকে বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে তিন কিস্তিতে প্রায় ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। ধাপে ধাপে শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
এর মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নানা কারণে সঙ্কটে থাকা অর্থনীতিতে গতি আনতে আইএমএফ এর কাছে আরো তিন বিলিয়ন ডলার চাইতে যাচ্ছে সরকার।
চলমান ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়নে সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসবে। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ৩ বিলিয়ন ডলার চাওয়া হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান গবেষণার ফলাফল কাজে না লাগলে উন্নয়ন অর্থবহ হবে না।
"আমাদের দেশের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এটা নিয়ে গবেষণা ও গবেষণার প্রয়োগের ফলে। এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। লোকজন অনুভব করুক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নামে একটি মন্ত্রণালয় আছে। শুধু রুপপুর দিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ শেষ না। নিজেদের কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।"
তিনি বলেন, “সমাজে বা দেশের জন্য আপনাদের কন্ট্রিবিউশন ব্যর্থ হলে জনগণ এটার বিরুদ্ধে কথা বলবে। খুব দ্রুত হয়ত হবে না, তবে ধীরে ধীরে হলেও কাজের পরিবর্তন আনতে হবে। কন্ট্রিবিউট করতে হবে।”
“দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতা নয়” মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “সকলের সহযোগিতা লাগবে।”
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন কাণ্ডে গতিশীলতা আনা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।