আকুর বিল পরিশোধ করায় চলতি মাসে রিজার্ভ নেমে যায় ২০ বিলিয়নের নিচে।
Published : 27 Mar 2025, 11:37 PM
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি (রিজার্ভ) ‘কিছুটা’ বেড়ে দুই হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের ঘরে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে বিপিএম৬ পদ্ধতি (আইএমএফ) অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার। আর ‘গ্রস’ রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।
চলতি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।
গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, গত দুই মাসে আকুর বিল পরিশোধে গেছে ১৭৫ কোটি ডলার।
ব্যাংকাররা বলছেন, রেমিটেন্সের প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ায় রিজার্ভ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করে থাকে। একটি মোট রিজার্ভ, যা বিভিন্ন তহবিল নিয়ে গঠিত; দ্বিতীয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ এবং তৃতীয়টি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু।
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য ছিল।
তবে রিজার্ভ সংকটে পড়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আকু থেকে বেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি করে, তার দায় ২ মাস পর পর সমন্বয় করে।