বেসরকারি চাকরিজীবীদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আরও সহজে অন্তর্ভূক্ত করতে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর-আরজেএসসির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আরজেএসসি দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দিয়ে থাকে।
চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সংস্থাটি দুই লাখ ৮৭ হাজার নিবন্ধন দিয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে চাইলে তাদের বিষয়ে আরজেএসসি থেকে তথ্য নিয়ে নেওয়া হবে। ফলে প্রগতি স্কিমের নিবন্ধন সহজ হবে।
কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কর্মীদের কী হবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানে একবার কেউ নিবন্ধিত হলে তার আর ঝরে পড়ার সুযোগ নেই। কোনো না কোনো ফরমেটে তিনি পেনশন স্কিমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বা পরিবর্তন হলে তিনি তার ইউনিক আইডিসহ অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাবেন।”
গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাস, বেসরকারি চাকুরীজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য সুরক্ষা এবং স্বল্পআয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা নামের চারটি স্কিম চালু করা হয়েছে।
এই পর্যন্ত ১৬ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। শুরুতে এ স্কিমের অধীনে ২০০০, ৩০০০, ৫০০০ টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও চলতি মাস থেকে ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ চালু করা হয়েছে।