চট্টগ্রামে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া প্রতিষ্ঠিত সুর-সপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠের ৩৭তম বার্ষিকীতে সংগঠনটি তাদের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করেছে।
চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান ও সনদপত্র বিতরণের আয়োজন করা হয় শনিবার রাতে।
অনুষ্ঠানে সমাজ বিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেন, "ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া একাধারে সংগীত শিল্পী, সংগীত গুরু, রচয়িতা, সুরকার ও নাট্যকার ছিলেন। উনার হাতে গড়া অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী সংগীতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনামের সাথে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের অনেক সংগীত গুরু এবং সংগীত শিল্পী উনারই শিষ্য।
"তিনি উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ ‘আরোহ-অবরোহ’ রচয়িতা হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি উচ্চাঙ্গ সংগীত গ্রন্থ। সংগীতের মানোন্নয়নের জন্য তিনি নিজেকে আমৃত্যু নিয়োজিত রেখেছিলেন। শাস্ত্রীয় সংগীতাঙ্গনে অনস্বীকার্য অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উনাকে সম্মান জানানো উচিত।"
ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ির আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ অহিদুল আলম জুয়েল, সপ্তস্বর সংগীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শিল্পী অরুণ বড়ুয়া, সুর-সপ্তকের অধ্যক্ষ ওস্তাদ মাসুদ হোসেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সমবেত সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় মনোমুগ্ধকর উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান।
প্রথমে ইমন রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী ঋতু দে, শুদ্ধকল্যাণ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়ার কন্যা শিল্পী ফাল্গুনী বড়ুয়া।
রাগ পরমেশ্বরী পরিবেশন করেন শিল্পী দোলন কানুনগো (মোহনবীণা) এবং শিল্পীদের তবলায় সহযোগিতা করেন শিল্পী সমীর আচার্য (কলকাতা), শিল্পী সুরজিৎ সেন, শিল্পী রাজীব চক্রবর্ত্তী। বেহালায় সহযোগিতা করেন শিল্পী শ্যামল দাশ। হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেন শিল্পী সুমন বড়ুয়া, শিল্পী প্রমিত বড়ুয়া এবং তানপুরায় সম্পদ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অনিন্দিতা চৌধুরী।
পরে সুর-সপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।