রামুতে হামলা হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, বিচার হয়নি: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন এটার মূল উৎস হচ্ছে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। যার যার ভাষা ও ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে, ইতিহাস আছে সেটাকে পালন করবেন। এটা বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের একটি অংশ।”

রামু বৌদ্ধ বিহারে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হামলা হলেও ওই ঘটনায় কারো বিচার হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার নগর বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। অনেকেই এটা হৃদয়ে ধারণ করে না। যারা বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মন্দির ভেঙ্গেছে।

“২০১২ সালে রামু বৌদ্ধ মন্দিরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে; পত্র-পত্রিকায় ছবি আছে। আমরা দেখেছি সব। কিন্তু এটার কোনো বিচার হয়নি।”

তিনি বলেন, “উখিয়ার বৌদ্ধ ও কুমিল্লায় হিন্দুদের মন্দিরে আওয়ামী লীগের লোকজন আক্রমণ করেছে, এগুলোর কোনো বিচার হয়নি। কিন্তু মিথ্যা মামলা দিয়েছে অন্য মানুষের নামে।”

‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট’ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রামে সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ঐক্য ও সম্প্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। আপনারা যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন এটার মূল উৎস হচ্ছে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। যার যার ভাষা ও ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে, ইতিহাস আছে সেটাকে পালন করবেন। এটা বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের একটি অংশ।”

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও প্রবারণা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ঝন্টু কুমার বড়ুয়ার পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মা ম্যা চিং, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্ম সম্পাদক দিপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রেজা।