প্রশাসনের ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি’ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৭২টি সংবাদের প্রদর্শনী করা হয়।
Published : 23 Jan 2024, 06:36 PM
উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে সংবাদ প্রদর্শনী করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
প্রশাসনের ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি’ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৭২টি সংবাদের প্রদর্শনী করা হয় সেখানে।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই প্রদর্শনী হয়।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের প্রোগ্রাম ১১টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানের সরঞ্জামাদি নিয়ে আসার সময় এবং প্যান্ডেল করার সময় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। যার কারণে আমাদের প্রোগ্রাম শুরু করতে সময় লেগেছে।”
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রক্টর বললেন, আলোচনায় বসলে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমরাও বলেছি, আমরা আলোচনার বিপক্ষে না। তবে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। আগামীকালও প্রদর্শনী হবে এবং পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর নাজেমুল হাসান মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষক সমিতির কর্মসূচিতে আমরা কোনো বাধা দিইনি। বরং প্রক্টরিয়াল বডি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতিকে সসম্মানে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছে। পরে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করেছে।”
আলোচনার প্রস্তাবের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, “যে শিক্ষকেরা ঝুঁকি নিয়ে, ত্যাগ স্বীকার করে আমাদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন, তাদের মতামতের বাইরে আমরা কিছু করতে পারব না। আগামীকাল আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব যে, ভিসির আমন্ত্রণে কি করা যায়।”
প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে লিখিত ও মৌখিকভাবে দাবি জানানোর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করায় গত বছর ১৮ ডিসেম্বর উপাচার্য শিরীণ আখতার এবং উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষক সমিতি।
এরপর থেকে শিক্ষক সমিতি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।