চট্টগ্রাম ইপিজেডের ১৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিটসহ ১৪৭টি কারখানা ওই ইটিপি’র সঙ্গে যুক্ত।
Published : 10 Jul 2023, 09:51 PM
অপরিশোধিত অবস্থায় বর্জ্য ছেড়ে পরিবেশের ক্ষতি করায় চট্টগ্রাম ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারকে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস সোমবার শুনানি শেষে ‘চিটাগং ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টস লিমিটেডকে’ (সিডব্লিউটিপিএল) দুই কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বেপজারর অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিডব্লিউটিপিএল চট্টগ্রাম ইপিজেডের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারটি পরিচালনা করে। চট্টগ্রাম ইপিজেডের ১৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিটসহ ১৪৭টি কারখানা ওই ইটিপি’র সঙ্গে যুক্ত।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অধিপ্তরের কর্মকর্তারা ইপিজেড এলাকায় স্থাপিত ইটিপি পরিদর্শন করেন। ইটিপি থেকে নির্গত তরল বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন।
নমুনায় রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা (সিওডি) ও জৈব অক্সিজেনের চাহিদা (বিওডি৫) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য মাত্রার বাইরে পাওয়া যায়।
মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, “গ্রহণযোগ্য মাত্রার বাইরে তরল বর্জ্য নির্গমণ করায় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে প্রতীয়মান হওয়ায় ইটিপি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের শুনানিতে ডাকা হয়।”
সিডব্লিউটিপিএল এর তিন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সোমবার এ শুনানি হয়। সেখানে তাদের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে পরীক্ষাগার প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, “তারা কোনোপ্রকার পরিশোধন ছাড়াই তরল বর্জ্য সরাসরি খালে বাইপাস করছে। যা পরে পতেঙ্গা এলাকায় সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে।”
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর একই প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে তাদের ত্রুটি সারানোর নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।
কিন্তু তা না করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় পরিবেশ অধিদপ্তর সোমবার শুনানি শেষে দুই কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে ত্রুটি সারিয়ে সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দেয়।
চট্টগ্রামে বেপজার নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইপিজেডের সেন্ট্রাল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হলেও এটি বেসরকারি একটি সংস্থা পরিচালনা করে থাকে। এদের জরিমানা করার বিষয়টি আমরা অফিসিয়ালি জানি না।”
শুনানিতে অংশ নেওয়া সিডব্লিউটিপিএ এর এজিএম (প্ল্যান্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার) আবরার আহমেদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।