দেশে বিভাজনের চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

"আপনাদেরকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। আপনাদের অধিকার এদেশের প্রতিটি মানুষের মত অধিকার," জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে বলেন টিপু মুনশী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2022, 05:36 PM
Updated : 19 August 2022, 05:36 PM

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘সাহসী’ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে ‘অশনি সংকেত’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভাজনের চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের জেএম সেন হল মাঠে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, “আজকের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনের কথা আসছে। অশনি সংকেত লক্ষ্য করছি। আজ বিভিন্নভাবে বিভাজন করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে অবনমিত করা হচ্ছে, নিচে টেনে নামানো হচ্ছে।

“আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এদেশের মাটিতে সবার রক্ত মিশে আছে। সবার রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। কাউকে ভাগ করা যাবে না। ধর্মীয় বিভাজনের মধ্য দিয়ে কাউকে খাটো করা যাবে না। আপনারা কখনই একথা ভাববেন না।”

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদেরকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। আপনাদের অধিকার এদেশের প্রতিটি মানুষের মতো অধিকার। কখনও সাহস হারাবেন না। আপনাদের কেউ কেউ ধর্মীয় কারণে, কেউ কেউ অন্য উদ্দেশে খাটো করার চেষ্টা করছে।”

বাংলাদেশকে যারা সাম্প্রদায়িকতার দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে তাদেরকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন।

তার মতে, রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতার প্রতিফলন ঘটলে দেশ আফগানিস্তানের মত ‘দোজখে’ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, “প্রতিজ্ঞা করে শক্ত ভাবে মাটি কামড়ে সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে। প্রতিহত করার কোনো বিকল্প নাই। কারণ এরা থাকবে। এরা অনেক গোষ্ঠী দ্বারা স্পন্সরড। এদের গডফাদাররা বিদেশে বসে আছে। দেশি বিদেশি শক্তি মিলে বাংলাদেশে অরাজকতা করতে চায়। নানাভাবে আমাদের যে অর্জনগুলো সেগুলোকে নস্যাৎ করতে চায়।”

সার্বজনীন পারিবারিক আইন সময়ের দাবি মন্তব্য করে আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, “ভারতে মুসলিম আইন সংস্কার হয়নি, হিন্দু আইন হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু আইন সংস্কার হয়নি, মুসলিম আইন হয়েছে।

“সার্বজনীন পারিবারিক আইন সময়ের দাবি। সিভিল আইনে, ফৌজদারী আইনে কার কী ধর্ম প্রাসঙ্গিক না। চুরি করলে কার কী ধর্ম সেটা প্রাসঙ্গিক না, একই সাজা। তাহলে সার্বজনীন পারিবারিক আইনে এত দ্বিধা কেন? ”

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জনসহ হিন্দু ধর্মীয় গুরু ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।