চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার সুয়াবিল, খাগড়াছড়ি-বারৈয়ারহাট সড়ক ও চন্দনাইশ উপজেলার বরমা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাজিরহাট এলাকায় দুর্ঘটনায় নিহত তাইরিন তাবাসসুম তোহা (৯) ওই এলাকার ইসলামীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর চন্দনাইশের বরমা এলাকায় নিহত শিশুটির নাম নুর উদ্দিন (১৩)।
বারৈয়াহাট এলাকায় নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তবে তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ নাজিরহাট ফাঁড়ির পরিদর্শক আদিল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বারৈয়ারহাটগামী একটি পিকাপের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
এদিকে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে নাজিরহাট পৌরসভা এলাকায় জিপ (চাঁদের গাড়ি) চাপায় মারা যায় তাইরিন তাবাসসুম তোহা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই জন।
ভুজপুর থানার এসআই রাজু আহমেদ বলেন, “তাইরিন তাবাসসুম নামের ওই শিশুটি আরও দুই সহপাঠীর সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। স্কুলের কাছেই পেছন থেকে একটি চাঁদের গাড়ি তাদের ধাক্কা দিলে তাবাসসুম গাড়ির নিচে পড়ে যায়, আর দুই জন রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে।”
তাদের উদ্ধার করে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাইরিনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এসআই রাজু।
এদিকে চন্দনাইশে ছোট ভাইকে মাদ্রাসায় দিয়ে সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে নুরউদ্দিন নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দনাইশ থানার এসআই অজয় চক্রবর্ত্তী।
তিনি বলেন, বরমা এলাকায় অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে নুর উদ্দিন মারা যায়।
“অটোরিকশাটি আরেকটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করে ডান দিকে চলে আসলে নুর উদ্দিনের সাইকেলকে চাপা দেয়।”
অটোচালক মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান এসআই অজয়।