যারা ‘প্রতিমা ভাঙে’, তারাই পাহারাদার: আমীর খসরু

এ বিএনপি নেতার ভাষ্য, তার দল ‘সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে’ ছিল।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2022, 04:00 PM
Updated : 30 Sept 2022, 04:00 PM

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার দায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রতিমা ‘যারা ভাঙে’, তাদেরকেই পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার চট্টগ্রামের লাভ লেইনে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ও যুব ফ্রন্টের উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান তিনি এ কথা বলেন।

খসরু বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াই প্রথম পূজামণ্ডপে চাল-ডাল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখন তো শুনি যুবলীগ-ছাত্রলীগকে পূজামণ্ডপের শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহলে দেশের পুলিশ বাহিনী কোথায় গেল?

“তার মানে রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর কোনো দায়িত্ব নেই। যারাই হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙে, জায়গা দখল করে তাদেরকে পূজা মণ্ডপ পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মানে শিয়ালকে মুরগি পাহারা দিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

হিন্দুদের ৮০ শতাংশ জায়গা-জমি ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা’ দখল করেছে দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “যুগ যুগ ধরে এ দেশের মাটিতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বাস করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে একসাথে আমাদের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছি।

“এই দেশ নির্মাণ করতে চেয়েছি সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে। কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে বেঁচে থাকবার অধিকারগুলো সত্যিকার অর্থে ভোগ করতে পারছি না।”

বিএনপি সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল দাবি করে আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছুই নেই, আমরা সবাই এক, আমরা সবাই বাংলাদেশি। দেশের সংবিধান সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। বিএনপি সেটাকে ধারণ করে। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা সেটাকে ধারণ করে না।

“বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে যারা বাস করে তারা সবাই বাংলাদেশি। সুতরাং এখানে রাজনীতিতে হিন্দু না মুসলিম এই পরিচয়ের রাজনীতি নাই।”

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার অনুষ্ঠানে বলেন, “দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয় শক্তির জন্য। অসুরের যে শক্তি তাকে বদ করার জন্যে।

“অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন নিপীড়ণের বিরুদ্ধে এই উপাসনা। সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং সব রকমের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার আরাধনা। এটা বাংলাদেশের সর্বজনীন পূজা।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ও যুব ফ্রন্টের সভাপতি প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার নাথের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ূয়া, সুশীল বড়ূয়া উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।