চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আরেকটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নদীর দক্ষিণ বাড়ীঘোনা উত্তর মসজিদ সংলগ্ন অংশে ডলফিনটি পাওয়া যায় বলে জানান নৌ পুলিশের এসআই মো. আশরাফুল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নদীতে ভাসমান অবস্থায় ডলফিনটি পাওয়া গেছে। এটির শরীরে পচন ধরেছে। তাই কোনো আঘাত ছিল কি না সেটা বোঝা যায়নি।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভোগের অধ্যাপক ও হালদা রিসার্চ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘মৃত ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১ ফুট ১ ইঞ্চি। এটির ওজন ২৫ কেজি ৩০০ গ্রাম।
“ডলফিনটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ডলফিনটি হতে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তাই ধারণা করা যাচ্ছে- কয়েকদিন আগে মারা গেছে। ভাটায় তা নদীরের পাড়ের কাছে ভেসে ওঠে।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইডিএফ’র সহযোগিতায় মৃত ডলফিনটি নদী তীরে মাটি চাপা দেওয়া হয় বলে জানান অধ্যাপক মনজুরুল।
এর আগে চলতি বছর ২১ জুলাই রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় একটি এবং আগের দিন একই এলাকায় আরেকটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।
তারও আগে ১৪ জুলাই রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহিরা এলাকায় হালদার সংযোগখাল বুড়িসর্তায় প্রায় সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ১২০ কেজি ওজনের আরেকটি মৃত ডলফিন পাওয়া গিয়েছিল।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হালদায় ৪০টি এবং কর্ণফুলীতে ২টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। হালদায় ডলফিন হত্যা বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
হালদা রির্সাচ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরীয়া জানান, ২০২১-২০২২ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুসারে হালদায় ১৪৭টি ডলফিনের উপস্থিতিতে পাওয়া গেছে।