সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্যুয়ারেজ প্রকল্প গ্রহণকে নিজের সফলতা হিসেবে দাবি করেন তিনি।
Published : 03 Aug 2023, 09:47 PM
বারো বছর ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে আরও তিন বছর ওই পদে রাখছে সরকার।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, “প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে বর্তমান চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর ১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে তিন বছরের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের জন্য সরকারের অনুমোদন নির্দেশক্রমে জ্ঞাপন করা হল।”
এ কে এম ফজলুল্লাহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “চট্টগ্রাম শহরে স্যুয়ারেজ প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু করেছি। স্যুয়ারেজের আরো পাঁচটি প্রকল্প পাইন লাইনে আছে। এটাই আমার এই মেয়াদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।
“আর পানিতে লবণাক্ততা কমানো দ্বিতীয় লক্ষ্য। আশা করি এই দুটি লক্ষ্যে সফল হব।”
১৯৪২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া ফজলুল্লাহ লাহোর থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন এবং ১৯৬৮ সালে ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৮ সালে অবসর নেন।
এরপর ২০০৯ সালের ৮ জুলাই তাকে এক বছরের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান করা হয়।
পরে চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড গঠন হলে তিনি প্রথম দফায় তিন মাসের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেলেও পরে সাত দফায় পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত ১২ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পানিতে ময়লা ও লবণাক্ততা, সিস্টেম লস কমাতে না পারা, দীর্ঘদিন ধরে পদে থাকা, বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবসহ নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা হয়েছে ফজলুল্লাহকে ঘিরে।
তার বিরুদ্ধে ‘অর্থপাচার, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অব্যবস্থাপনা’সহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর যুক্ত করে ২০২০ সালে দুদকে অভিযোগও করেছিলেন মো. হাসান আলী নামে ওয়াসার এক গ্রাহক।
তবে ফজলুল্লাহ তার মেয়াদে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎপাদন ১২ কোটি থেকে ৫০ কোটি লিটারে উন্নীত করতে সফলভাবে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।
সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও স্যুয়ারেজ প্রকল্প গ্রহণকে নিজের সফলতা হিসেবে দাবি করে থাকেন তিনি।