শুরুতে লালখান বাজার, জামালখান ও বাগমনিরাম ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ সংযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগের তার ভূ-গর্ভে নেওয়া হবে।
Published : 12 Mar 2024, 05:33 PM
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের তিনটি ওয়ার্ড ছয় মাসের মধ্যে তারের জঞ্জাল মুক্ত হতে চলেছে।
মঙ্গলবার টাইগার পাসের অস্থায়ী নগর ভবনে এ কাজের জন্য সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চুক্তি অনুযায়ী লালখান বাজার, জামালখান ও বাগমনিরাম ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ সংযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগের তার আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভূ-গর্ভে নেওয়া হবে।
সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন।
মেয়র রেজাউল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। আজ চট্টগ্রামে এক নতুন যুগের সূচনা হল।”
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ডিশ ও ইন্টারনেট সংযোগ কেবল ব্যবস্থাপনা হলে বৈদ্যুতিক পিলারে দুর্ঘটনা কমবে। শহরের সৌন্দর্য বাড়বে৷ আবার তার কাটা ও চুরি রোধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে।
“বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টগ্রামের যে গুরুত্ব আছে, তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে তারের জঞ্জালের জন্য। নগরীর সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে চাই।
“আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে তিনটি ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ-ইন্টারনেটের তার ভূ-গর্ভে নেব আমরা৷ এরপর তিন ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পুরো নগরীর ডিশ-ইন্টারনেটের তার ভূ-গর্ভে নেওয়া হবে৷”
সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, “ড্রেনেজ এবং স্যুয়ারেজ সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে ডাক্টিং করে আমরা জলনিরোধক ফাইবার অপটিক অবকাঠামো গড়ে তুলব। ’ফাইবার টু দ্যা হোম’ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মূল সড়ক থেকে অলি-গলি এবং সেখান থেকে প্রতিটি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে।
“আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে কোনো আইএসপি যত ইচ্ছা গতির সংযোগ গ্রহণ করতে পারবে। সেবা প্রদানে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে না। এছাড়া আগামী ৫ বছরের মধ্যে ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল ডিশ কেবল চালু করবে, এ বিষয়টিও মাথায় রাখব আমরা। তিনটি ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুরো শহরকে তারের জঞ্জালমুক্ত করব আমরা।”
অন্যদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের বোর্ড ডিরেক্টর ফাদিয়া খানসহ সিসিসি ও সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।