চট্টগ্রাম মহানগরীকে ১০টি জোনে ভাগ করে মশক নিধনের কাজ করছে সিসিসি।
Published : 26 Jul 2022, 10:04 PM
চট্টগ্রামে চলতি মাসে ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ ৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬১ জন।”
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুসারে আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি ৫৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, নারী ১৬ জন এবং শিশু ২২ জন।
ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া ঠেকাতে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এইডিশ মশা স্বচ্ছ পানিতে হয়ে থাকে। যেমন ছাদে, বাগানের টবে, ফেলে রাখা কন্টেইনারে, নির্মাণাধীন ভবনে, বাড়ি-ঘরের আঙিনায় জমে থাকা পানিতে। এজন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে।”
‘ক্রাশ প্রোগ্রামে’ এক লাখ লিফলেট বিলি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, “ছাদ বাগান অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। ইনশাল্লাহ গতবারও যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম তাতে সফল হয়েছিলাম। চট্টগ্রামে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া তেমন আক্রমণ করতে পারেনি।
“এবারও প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি একসঙ্গে ৪১টি ওয়ার্ডে সাতদিন ক্রাশ প্রোগ্রাম করব। এরপর আমাদের চলমান যে মশক নিধন প্রক্রিয়া তা চলবে।”
মেয়র রেজাউল বলেন, “সিটি করপোরেশন কেবল বাড়ির বাহিরে মশা মারতে পারে। তাই আমাদের নিজ নিজ বাসা-বাড়ি-আঙ্গিনা পরিস্কার রাখতে হবে। নগরীকে ১০টি জোনে ভাগ করে মশক নিধনে কাজ চলছে। সবার সহযোগিতা চাই। আশাকরি চট্টগ্রামের নাগরিকদের এই রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারব।”
সিসিসি-র ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, “আমরা পত্রিকায় সতর্কতা মূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। যাদের নির্মাণাধীন বাড়ি-ঘর আছে তারা যেন পানি জমিয়ে না রাখে। ছাদ বাগানে যেন পানি জমিয়ে না রাখে। কারো বাড়ির আঙিনায় বা প্রতিষ্ঠানের কোথাও যদি পানি জমে থাকে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
আরাকান রোডে নির্মাণাধীন একটি বাড়ির নিচে পানি জমিয়ে রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামীকাল থেকে এই অভিযান লাগাতার চলতে থাকবে। সচেতনতার পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেবো।”
মশার ওষুধের ঘাটতি নেই জানিয়ে আবুল হাশেম বলেন, “আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করছি তা পরীক্ষিত।”