নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ও নিঃসংকোচে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
সোমবার দুর্গা পূজার মহাষ্টমীতে নিজ সংসদীয় আসন চট্টগ্রাম-৯ এর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে বের হয়ে গোলপাহাড় গোশালা পূজা মণ্ডপে এ আহ্বান জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী।
নওফেল বলেন, “শারদীয় দুর্গোৎসব আসলে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চক্রান্ত চালায়। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে সরকার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এদের প্রতিরোধ করে বিতারিত করতে সর্বদা রাজপথে আছে।
“সনাতনী সম্প্রদায় যাতে নিরাপদে দুর্গোৎসব পালন করতে পারে সেই জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনারা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ও নিঃসংকোচে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করুন।”
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সনাতনী সম্প্রদায়কে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যার শারদ শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে আপনাদের কাছে এসেছি।
“দুর্গা পূজার সাথে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুসংহত হোক – এ কামনা করি।”
উপমন্ত্রী বলেন, “দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সর্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।”
তিনি বলেন, “বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা পরিকল্পিত ভাবে সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল, হত্যা করেছিল। সম্প্রদায়িক হামলার কারণে সনাতন সম্প্রদায়ের অনেককে দেশত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়েছে।
“কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকে, নিরাপদে সকলে তাদের ধর্মীয় সকল অনুষ্ঠান পালন করতে পারে।”
শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুর ছালাম মাসুম, নুরুল আলম মিয়া, নিলু নাগ, রুমকি সেনগুপ্ত, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক রাহুল দাশ প্রমুখ।