চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ বাসায় পড়েছিল তরুণের লাশ

বাসা থেকে রাগ করে বেরিয়েছিলেন তিনি।

চট্টগ্রামে তালাবদ্ধ একটি বাসা এক তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ধারণা করছে, জুনায়েদ হোসেন জিসান নামের ওই তরুণ খুন হয়েছে। 

নগরীর হাজীরপুল এলাকার সাওদাগর কলোনীর একটি বাসা থেকে বুধবার রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা। 

২১ বছর বয়সী জিসানের (২১) বাড়ি মীরসরাই উপজেলার ওসমানপুরে। তিনি নগরীর বায়েজিদ হাজীর পুল এলাকায় মা ও ছোট ভাইয়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

ওসি সঞ্জয় সিনহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জুনায়েদের বাবা প্রবাসী। কোরাআনে হাফেজ জুনায়েদ রোজায় চান্দগাঁও এলাকায় একটি মসজিদে তারাবি পড়িয়েছিলেন।

“সেখানে টাকা পাওয়ায় তার মা কিছু টাকা চেয়েছিলেন। সেজন্য মা’র সাথে রাগারাগি করে গত ১ এপ্রিল রাতে বাসা থেকে বের হয়ে যান।” 

ওসি বলেন, “জুনায়েদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে আগেও সে কয়েকবার রাগারাগি করে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক দিন পর আবার ফিরে আসতেন।     

জুনায়েদ বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ১ এপ্রিল রাতে তার মাকে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। 

ওসি সঞ্জয় সিনহা বলেন, “জুনায়েদের মা বলেছেন, জুনায়েদ দুষ্টামি করে নিজেই ফোন করিয়ে টাকা দাবি করেছিল বলে তিনি মনে করেছেন। যার জন্য বিষয়টি তারা থানা পুলিশকে জানায়নি।”

যে বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি জুনায়েদর বাসার কাছে জানিয়ে ওসি সঞ্জয় সিনহা বলেন, “জুনায়েদ বাসাটিতে যেতেন, সেটা তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন। দুই দিন ধরে বাসায় ফিরে না আসায় তারা সাওদাগর কলোনীর বাসাটিতে খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে বাসটিতে বাইরে থেকে তালা লাগানো এবং দুর্গন্ধ পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।” 

পুলিশ গিয়ে বাসাটির বাথরুম থেকে জুনায়েদের লাশ উদ্ধার করে। 

ওসি সঞ্জয় সিনহা বলেন, “ওই বাসায় কারা থাকতেন, কারা যাওয়া-আসা করতেন; সে বিষয়ে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আমরা কিছু বিষয় প্রকাশ করছি না। 

“কীভাবে জুনায়েদের মৃত্যু হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।”