হুলিয়া নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েও দেশে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা ছাত্র শিবিরের নেতা সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী বেলাল উদ্দিন মুন্নাকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার তক্তারপুল থেকে বুধবার নাজিম উদ্দিন হিরু নামের আরেক সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বায়েজিদ থানার একটি মামলায় মুন্না ও তার সহযোগী হিরুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুন্নার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক আইনে সাতটি এবং হিরুর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
পুলিশ জানায়, বিদেশে পালিয়ে থাকা শিবির ‘ক্যাডার’ সাজ্জাদের হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে মুন্নার বিরুদ্ধে। বায়েজিদ থানার বিভিন্ন প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের বিদেশ থেকে টেলিফোনে চাঁদা দাবি করেন সাজ্জাদ। চাঁদা না পেলে তাদের বাসায় কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পেট্রোল বোমার হামলার ঘটনা ঘটে।
নগরীর চালিতাতলী এলাকার আব্দুল গণি কন্ট্রাক্টরের ছেলে সাজ্জাদের নাম আলোচনায় আসে গত শতকের ৯০ এর দশকের শেষ দিকে। তখন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ খুনসহ অনেক মামলার আসামি হন।
হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে বিদেশে, ‘চাঁদাবাজি’ দেশে২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হত্যায় নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ড পেয়েছিলেন সাজ্জাদ। পরে উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় খালাস পান।
তবে গ্রেপ্তার এড়াতে ২০০২ সালে তিনি দুবাই পালিয়ে যান বলে গুঞ্জন রয়েছে। তাকে ধরতে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিস’ এখনও ঝুলছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, সাজ্জাদ দুবাই থেকে পালিয়ে ভারতেও অবস্থান করেছেন। সেখানে গ্রেপ্তারও হয় তিনি। পরে ভারতের কারাগারে থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ‘চাঁদাবাজির উৎপাত’ আরও বেড়ে যায়।
তার চাঁদাবাজি চলে মূলত বায়েজিদ থানার ওয়াজেদিয়া, চালিতাতলী, হাজীরপুল, চান্দগাঁও এলাকার শমসের পাড়া, পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকায়।
আরও পড়ুন