সিডিএ’র মহাপরিকল্পনা তৈরিতে ব্যবহার হবে ড্রোন: চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম নগরীর মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে ড্রোন ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2022, 04:26 PM
Updated : 16 June 2022, 04:26 PM

বৃহস্পতিবার নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলে মহাপরিকল্পনার প্রাথমিক প্রতিবেদন নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান।

সভায় এ প্রতিবেদন নিয়ে কারিগরি ব্যবস্থাপনা কমিটির মতামতও নেওয়া হয়।

সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সঙ্গে মিল রেখে ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মহাপরিকল্পনা (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান ডলফিন বলেন, “এই মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান, আরবান এরিয়া প্ল্যান ও একশন এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে।

“এই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার ও ভূতাত্তিক জরিপ করে মাটির গুণাগুণ ও ভূমিকম্প এবং বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় তথ্য পাওয়া যাবে।”

নগরীকে আধুনিক, উন্নত ও ঝুঁকিমুক্ত করতে মহাপরিকল্পনা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি সফল ও বাস্তবধর্মী মাস্টারপ্ল্যান করা হবে।”

সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে কারিগরী সক্ষমতায় রূপান্তর করতে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পর যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে একটি টেকসই মহানগরীতে পরিণত করতে হবে।”

সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত পাহাড় সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাস্টারপ্ল্যানে নগরীর প্রান্তিক এলাকায় বাস ও ট্রাক টার্মিনাল এবং আবর্জনা ডাম্পিং এরিয়া রাখতে হবে।”

এছাড়া সড়কের পাশে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ রোধে মাস্টারপ্ল্যানে ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, “বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার অনেক মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। রূপকল্প ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর সাথে সমন্বয় করে মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। সিডিএ ও সিটি করপোরেশনকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে একযোগে কাজ করতে হবে।”

সভায় প্রকল্প পরিচালক সিডিএ এর উপ প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈসা আনছারী আগের মাস্টারপ্ল্যান ও ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে নতুন মহাপরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

আরও বক্তব্য দেন সাংসদ এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, সিডিএ এর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ কাজী হাসান বিন শামস।
এটি সিডিএর তৃতীয় মহা পরিকল্পনা। এর আগে ১৯৬১ সালে প্রথম এবং ১৯৯৫ সালে ২০ বছর মেয়াদী দ্বিতীয় মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাও (ড্যাপ) করেছিল সংস্থাটি।