চট্টগ্রাম নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নির্মাণ করা বিকল্প শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
Published : 05 Feb 2022, 08:11 PM
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ভাঙতে হওয়ায় বিকল্প শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বন্দরনগরীতে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণে ভাঙা হচ্ছে কেসি দে রোডের মুসলিম ইন্সটিটিউট হলও। এ কমপ্লেক্সে একই নকশায় নতুনভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
শনিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বিকল্প শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন। আসন্ন ২১ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি এখানেই পালন করা হবে।
অনুষ্ঠানে সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে যে স্বাংস্কৃতিক বলয় হচ্ছে, তার প্রধান অনুষঙ্গ শহীদ মিনার। সংস্কার ও অধিকতর উন্নয়নের জন্য শহীদ মিনার আপাতত স্থানান্তরিত হলেও অচিরেই তা মূল স্থানে ফিরবে।
তবে অস্থায়ী শহীদ মিনারটিও বহাল থাকবে বলে তিনি জানান।
১৯৬২ সালে নগরীর কেসি দে রোডে পাহাড়ের পাদদেশে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৭৪ সালে এটি বর্তমান রূপ লাভ করে।
চট্টগ্রামে কোনো স্মৃতিসৌধ না থাকায় একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ জাতীয় দিবসগুলোতে এখানেই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সবশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর ২৭ ডিসেম্বর শুরু হয় পুরনো কাঠামোটি ভাঙার কাজ।
চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট হল ভেঙে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২৩২ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। প্রকল্পের অধীনে মুসলিম ইন্সটিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আট তলা অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ চলছে।
সড়কের দুই পাশে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের দুই অংশের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে রাস্তার ২১ ফুট উপর দিয়ে একটি প্লাজা নির্মাণ করা হবে। এই প্লাজা দিয়ে হেঁটে কমপ্লেক্সের উভয় অংশে চলাচল করা যাবে।
শহীদ মিনার অংশে মুক্তমঞ্চ, শহীদ মিনার এবং প্লাজা নির্মাণ করতে যে নকশা করা হয়েছে, তাতে বর্তমান শহীদ মিনারটির ভিত্তি ভাঙার পাশাপাশি মিনার আরও উঁচুতে স্থাপন করতে হবে।
এ কারণেই সেটি ভেঙে সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী বিজয় দিবসের আগেই মূল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী গণপূর্ত বিভাগ।
শনিবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, একুশ পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সিসিসির কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন ও জহর লাল হাজারী, প্রমুখ।