‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসবে’ চট্টগ্রামে দু’দিনের কর্মসূচি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় আবৃত্তি উৎসবের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় নগরীতে আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান  জানান, ২৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত অনলাইনে এই উদ্বোধনী আয়োজনে বাংলাদেশের সব জেলার আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠকরা যোগ দেবেন “

‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’ স্লোগানে আয়োজিত এ উৎসবে দেশের ৬৪ জেলার প্রায় চার হাজার আবৃত্তি শিল্পী অংশ নেবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২৭ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন চট্টগ্রামের আবৃত্তি শিল্পীরা।

দ্বিতীয় দিন ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত চট্টগ্রামের সংগঠনগুলো আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রায় ৫৫০ জন শিল্পী এই উৎসবে অংশ নেবেন।

এবারের উৎসবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়কে এই পদক দেওয়া হবে।

এছাড়া আবৃত্তি শিল্পের বিকাশ ও অবদানের জন্য ৫০ জন আবৃত্তিকার ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের তিনজন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক পাবেন। তারা হলেন- মৃণাল সরকার (মরণোত্তর), রনজিত রক্ষিত (মরণোত্তর) এবং রাশেদ হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিস রুদ্র, নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান জাহাঙ্গীর, মাহবুবুর রহমান, মশরুর হোসেন, তাসকিয়াতুন নূর তানিয়া ও সেলিম রেজা সাগর।