চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেলা জজ জামিউল হায়দার বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি জসিম উদ্দিন বাপ্পী (৫০) সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার বাসিন্দা। তার উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জসিমকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে রায়ে।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আইয়ুব খান ও শরীফ আহমদ নামের দুই আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছে।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত দুই আসামি সরওয়ার আলম ও আবদুল মোতালেব বিচার চলাকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
ময়নাতদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ মেলে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জসিম উদ্দিন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৯ সালের ৪ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার জসিমকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন বিচারক।