আহত হোসাইন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা। রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার এ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী জানান, “ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে হলের এক শিক্ষার্থী ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দেয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।”
হোসাইন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোরে প্রচণ্ড চেঁচামেচির শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়।
“এরপর দেখি রুমের দেয়াল, টেবিল সব নড়ছে। তখন আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এমনিতেই আলাওল হল ঝুঁকিপূর্ণ। পরে ভূমিকম্পের মাত্রা বেশি মনে হওয়ায় আমি দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এক্সরে করে দেখতে হবে হাড় ভেঙে গেছে কি না।”
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার আবু তৈয়ব বলেন, “কোমরে ব্যাথা পেয়ে এক শিক্ষার্থী মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পাশাপাশি এক্সরে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরনো ও প্রথম ছাত্রাবাস হচ্ছে আলাওল হল, যেটি নির্মাণ হয়েছে ১৯৬৭ সালে।
মাঝে মাঝে হলের বিভিন্ন জায়গায় ছাদের পলেস্তার খুলে পড়ে, তাই ভূমিকম্প হলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত থাকেন।