হোমল্যান্ড নামের ওই কারখানায় পুরনো লুব্রিক্যান্ট থেকে গ্রিজ তৈরি হত। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার ছুটির দিন কারখানা বন্ধ থাকলেও কয়েকজন কর্মী সেখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। তারাই শুরুতে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন।
আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কেন আগুন লাগল বা ক্ষয়কক্ষতি কতটা হল সেটা তারা তদন্তের পর বলতে পারবেন।
“সেখানে তরল কেমিকেল ছিল। ওই কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
হোমল্যান্ড কারখানায় আগুন লাগার পর আকাশে ওঠা কারো ধোঁয়ার কুণ্ডলি স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকেও দেখা যাচ্ছিল।
ম্যাচের কারণে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলকে স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল। তারাই প্রথমে আগুন নেভাতে ওই কারখানায় ছুটে যান। পরে আগ্রাবাদ ও বন্দর ফায়ার স্টেশনের ১২টা গাড়ি যোগ দেয়।
ওই কারখানার মালিক বদিউল আলমের ছেলে মুনতাসির আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সব মিলিয়ে তাদের কর্মী সংখ্যা ২৫ জন। তবে শুক্রবার কারখানা বন্ধ থাকায় তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বাইরে।
“আগুনে আমাদের পুরো প্রডাকশন হাউজ পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকর বেশি হবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।”
“প্রডাকশন ইউনিটে যেখানে বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড আছে, ওখানে একটি শব্দ পাই। তারপর ধোঁয়া বের হতে শুরু করে এবং দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।”
মুনতাসির আলম দাবি করেন, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ সব ধরনের অনুমতিই তাদের আছে।
“সকালে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। তাতে বৈদ্যুতিক লাইনের কোনো সমস্যা হল কি না, সেখান থেকে আগুন লাগল কি না, এরকম একটা সন্দেহ আমাদের হচ্ছে।”