Published : 14 Aug 2021, 08:20 PM
শনিবার চট্টগ্রামে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ দাবি করেন, বিএনপি নেতারা ক্রমাগত বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করে আসছে। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন কার্যতপক্ষে একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনির দলের রাজনীতি যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করেন।”
বিএনপি নেতাদের ‘খুনি’ ও ‘বিশ্বাসঘাতকের’ রাজনীতি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উম্মোচন করা হবে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয়, ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয় তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা যেমন নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
“একইসাথে যারা বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে খাটো করে দেখে এবং বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায় তাদেরও রাজনীতি এদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”
চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এ আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
আলোচনাসভায় হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভুমিকাকে অস্বীকার করা হয়।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো তাহলে স্বাধীনতার ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র।
“কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতির চাকাকে ঘুর্ণায়মাণ চাকায় রূপান্তরিত করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউল আলম লাভলু, ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন, প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।