বাঁশখালী উপজেলার প্রেমবাজার থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম জাহিদুর আলম ওরফে জাহেদ (২৪)। তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ছয়জনসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন।
গত ১১ জুন পূর্ব বাকলিয়া আবদুল লতিফ হাটখোলা এলাকায় বড় মৌলভি কবরস্থানে সাইনবোর্ড দেওয়া নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চার জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে।
উদ্ধার করা পিস্তলটি জাহেদ সেদিন সংঘর্ষে ব্যবহার করেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
ওসি জানান, কবরস্থানের জায়গাটি স্থানীয় সাইফুল্লাহ মাহমুদের পূর্ব পুরুষেরা দান করেছিল। যেখানে স্থানীয় লোকজনের মৃত্যুর পর দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। এয়াকুব আলী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি কবরস্থানের নাম পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
শুক্রবার সকালে সাইফুল্লাহ মাহমুদ কবরস্থানে পরিচালনা কমিটির লোকজন নিয়ে সেখানে সাইনবোর্ড লাগাতে যায়। এসময় এয়াকুব আলী লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। এতে চার জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়।
ওসি রুহুল আমিন জানান, হামলার ঘটনায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ বাদি হয়ে এয়াকুবকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মামলার পরপর সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার জাহেদসহ মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা আট জন। যাদের মধ্যে ছয় জনই এজাহার নামীয় এবং দুই জন তদন্তে পাওয়া আসামি।