শনিবার দুপুরে নগরীর মুরাদপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে “প্রশিক্ষণ লব্দজ্ঞান মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের কৌশল ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই তথ্য জানান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চট্টগ্রাম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম-৯ আসনের এই সাংসদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার ৯০ লাখ মানুষকে ভাতা ও বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
“এটি একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলে সম্ভব হয়েছে। ভাতা বিতরণের এই চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
“প্রায় সবগুলো ভাতাই জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চালু করা। যেমন বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি চালু হয়েছে ১৯৯৭-৯৮ সালে, বিধবা ও স্বামীনিগৃহীতা ভাতা ১৯৯৮-৯৯ সালে করা। একটি শুধু অন্য সরকার আমলে চালু হয়েছে ২০০৫-০৬ সালে, তা হল অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা। সেটিও কিন্তু সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ তিনিই করেছেন।“
রাষ্ট্র পরিচালনায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নেও প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১২০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করে হয়েছে, যা আগামী অর্থবছর থেকে ২০০০০ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।”
সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক নুসরাত সুলতানার সভাপতিত্বে ও আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ কামরুল পাশা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল, বিভাগীয় উপ-পরিচালক হাসান মাসুদ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহীনেওয়াজ, নাজমা আকতার, মো. ওয়াহীদুল আলম, মো. শফিউদ্দিন, ফারহানা আমিন প্রমুখ।