শুক্রবার রাতে হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ বড় দিঘীর পাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি শাহ আহমদ শফী হত্যা মামলার আসামি। পাশাপাশি হাটহাজারীর নাশকতার ঘটনার মামলারও আসামি। অন্য কিছু বিষয়ও আছে।”
গ্রেপ্তার ফারুকীকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ’ হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেফাজতের আমির আহমদ শফী। তিনি হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন।
হেফাজতে নেতৃত্বের বিরোধের জেরে মৃত্যুর আগের দিন মাদ্রাসায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শফী মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
শফীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল দাবি করে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তার শ্যালক মো. মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন।
ওই মামলায় বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে আসামি করে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।
এদিকে শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের আমিরের পদে আসেন বাবুনগরী।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভ-হরতাল থেকে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়ায়।
হাটহাজারীতে থানা আক্রমণ, ভূমি অফিসে ভাংচুর, ডাক বাংলোতে হামলাসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় পুলিশ একাধিক নাশকতার মামলা করেছে।