সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে দেওয়া এ প্রতিবেদনে ৪৩ জনকে দায়ী করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
এই ৪৩ জনের মধ্যে হেফাজতের বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী রয়েছেন বলে জানান তিনি।
বনজ মজুমদার বলেন, এটি একটি ‘দণ্ডার্হ নরহত্যাজনিত অপরাধ’।
অর্থাৎ আসামিরা বেপরোয়া আচরণের মাধ্যমে আহমদ শফীর মৃত্যু ত্বরান্বিত করেছেন। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
আজিজুল হককে অন্য একটি মামলায় রোববার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শফীর মৃত্যুর মামলার তদন্তে বাবুনগরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
পিবিআই’র চট্টগ্রাম জেলার সুপার নাজমুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলার তদন্তে অন্তত ২২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন তারা। মৃত্যুর পাশাপাশি মাদ্রাসায় ভাংচুরসহ বিভিন্ন বিষয় তারা তদন্তে এনেছেন।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলতে রাজি হননি বনজ মজুমদার কিংবা নাজমুলের কেউই।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাটহাজারীর বড় মাদ্রাসার (আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা) দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আহমদ শফী।
মৃত্যুর আগের দিন মাদ্রাসায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শফী মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হন। তার ছেলে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানিকেও বহিষ্কার করা হয়।
শফীর মৃত্যুর দিন আনাস মাদানি ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগের দিনের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার কারণে ‘টেনশনে হার্টফেইল’ করে তার বাবা মারা গেছেন।
হেফাজতের মধ্যে বিবাদের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর শফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন।
এতে অভিযোগ করা হয়, আহমদ শফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই’কে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল।
কয়েক দফা সময় নিয়ে পিবিআই সোমবার আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করল।