বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাইফুল আলম শিকদারকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের শুনানি করা হয়। সাতদিন রিমান্ডে চাওয়া হয়েছিল।”
বুধবার মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোশাররফ হোসেন নতুন করে যে হত্যা মামলা করেন তাতে আসামি হিসেবে সাক্কুর নাম রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন মিতু হত্যার পর ১ জুলাই সাক্কুকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া খুনিরা যে মোটর সাইকেল ব্যবহার করেছিল সেটা সরবরাহকারী ছিলেন সাক্কু।
সাক্কুর ছোট ভাই কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা মিতু হত্যাকাণ্ডের ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’। ঘটনার পর থেকেই মুছার খোঁজ নেই। অবশ্য পরিবারের দাবি, ২০১৬ সালের ২২ জুন তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, যা পুলিশ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
সাক্কু ঘটনার পরপর গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে বের হন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। বুধবার সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ।
বাবুল ও সাক্কু ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুলের ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান ও খায়রুল ইসলাম কালু।
এরপর বুধবার বিকেলেই বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে মোশাররফের করা মামলায় রিমান্ডে চায় পিবিআই। তাদের আবেদনে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।