আইনজীবীকে আটকে রেখে মারধর, তরুণীসহ গ্রেপ্তার ২

এক আইনজীবীকে আটকে রেখে মারধর ও টাকা দাবির অভিযোগে চট্টগ্রামে এক তরুণীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2021, 11:45 AM
Updated : 30 April 2021, 11:45 AM

ডবলমুরিং থানার মৌলভীপাড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করে আইনজীবীকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- জোবাইদা সুলতানা হীরা ওরফে সোনিয়া (২১) ও মো. ইমরান (৩২)।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়ারা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে আটকে ‘অশ্লীল’ ছবি তুলে মারধর ও টাকা আদায় করে। ২০১৩ সালে এভাবে এক ব্যক্তিকে আটকে মারধরের কারণে ওই লোক মারা গিয়েছিলেন। সে মামলায় জোবাইদা দুই বছর কারাগারেও ছিলেন।

এ চক্রের দলনেতা রুনা নামে আরেক নারীকে পুলিশ খুঁজছে বলে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জোবাইদা বৃহস্পতিবার হাবিবুর রহমান আজাদ নামে চট্টগ্রাম আদালতের এক আইনজীবীকে সোনিয়া পরিচয়ে ফোন করে আইনি সহায়তার কথা বলে ডেকে নেয় মৌলভীপাড়ায় ইউসুফ হাজী ভবনের একটি বাসায়।

“ওই বাসায় যাওয়ার পর ইমরানসহ আরও তিনজন ঢুকে দরজা আটকে দেয়। তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করে আজাদের কাছে। টাকা দিতে না পারায় তাকে মারধর করে।”

আইনজীবী আজাদ ঘটনাটি কৌশলে পুলিশকে জানালে ওই বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে ওসি মহসিন জানান।

তিনি বলেন, “পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা সটকে পড়লেও পুলিশ জোবাইদাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জোবাইদার তথ্য মতে ওই বাসায় যারা ছিলেন তাদের নাম ইমরান, জাহেদ ও রিয়াজ। পরে মৌলভীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

এ ঘটনায় আইনজীবী আজাদ বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ওসি মহসিন বলেন, জোবাইদা পুলিশকে বলেছে, তাদের চক্রের প্রধান রুনা নামের ৩৫/৩৬ বছরের এক নারী। তার অধীনে এধরনের কয়েকটি চক্র নগরীতে সক্রিয় আছে।

তিনি বলেন, “২০১৩ সালে ইপিজেড এলাকায় এক ব্যক্তিকে একটি বাসায় আটকে মারধরে সে মারা যায়। ওই হত্যা মামলায় জোবাইদা গ্রেপ্তার হয়ে দুই বছর কারাগারে ছিল।”