বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দলটির নেতারা এ দাবি জানান।
আলিয়া মাদ্রাসা ও কওমি মাদ্রাসার জন্য আলাদা শিক্ষা নীতিমালা ভবিষ্যতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা।
ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, “নৈতিক পদস্খলন ও জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হেফাজতকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের কমিটি বিলুপ্তি বা নতুন কমিটি গঠন করা ইতোপূর্বে সংগঠিত জঙ্গিবাদি অপরাধকে মার্জনা করে না।”
সম্প্রতি পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সম্পৃক্ততার কথা’ ওঠে এসেছে উল্লেখ করে এই দলটিকেও নিষিদ্ধের দাবি জানন তিনি।
মতিন বলেন, “এ তথ্য যদি সত্য হয় তবে খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন বাতিলসহ জঙ্গি সম্পৃক্ততার কারণে এ দলটিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।”
শুধু নিষিদ্ধ করাই নয়, জঙ্গি গোষ্ঠীকে কঠোর হাতে দমনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েঢ তিনি বলেন, “তা না হলে খোলস পাল্টিয়ে তারা নতুনভাবে জঙ্গিবাদি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।”
বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীর পেছনে বিদেশি মদদ রয়েছে দাবি করেন ইসলামী ফ্রন্টের নেতারা।
দেশের এমপিওভুক্ত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা নীতিমালা তৈরি করা হলেও কওমি মাদ্রাসাগুলোর এর আওতায় তা থাকার কথা তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
মতিন বলেন, “তারা সরকারি স্বীকৃতি ভোগ করে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে কাজ করছে। অতিমাত্রায় সরকারি সুবিধা গ্রহণের ফলে তারা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণে উৎসাহী হয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে একই সিলেবাসভুক্ত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত করতে হবে।
“সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসা বোর্ড হতে তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদ্রাসাগুলোতে রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যে ঘোষণা এসেছে, তা অনেকটা জাতির সাথে প্রতারণার শামিল। যতদিন এ ধারার মাদ্রাসাগুলো রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে না ততদিন তারা একের পর এক ভিন্ন নামে, ভিন্ন কর্মসূচিকে সামনে এনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাবে। তাই কওমী মাদ্রাসাকে অডিটের মধ্যে এনে অবিলম্বে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
মতিন বলেন, “রাষ্ট্রীয়ভাবে মাদ্রাসা শিক্ষাকে দু’ধারায় বিভক্ত করার ফলে অদূর ভবিষ্যতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকাবোধ করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান এম এ মান্নান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, শাইখ আবু সুফিয়ান খান আবেদী, রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, ওবাইদুল মুস্তফা কদমরসুলী, আব্দুন নবী আল কাদেরী, মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খান, মাওলানা আবদুল খালেক, অধ্যক্ষ হাফেজ আহমদ কাদেরী, নাসির উদ্দীন মাহমুদ প্রমুখ।