নগরীর স্টেশন রোডের ইলেকট্রিক গলি থেকে শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার একজনের নাম রাশেদুল ইসলাম (১৯) ও অন্যজন ১৬ বছর বয়েসী কিশোর। ওই কিশোর রাশেদের বড় ভাইয়ের দোকান কর্মচারী।
“আমরা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইলেকট্রিক গলি এলাকা থেকে রাশেদুল ও তাদের দোকান কর্মচারি ১৬ বছর বয়েসী ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করি।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সায়েম ও রাশেদুল নগরীর কুলগাঁও এলাকার আহসানুল উলুম জামিয়া গাউসিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০১৫ সালে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার সময় পরিচিত হয়।
“বিভিন্ন সময় সায়েম তাকে সমকামীতার প্রস্তাব দিত দাবি করে রাশেদুল বলেছে, বারবার নিষেধ করার পরও সায়েম কাজটি করে যাওয়ায় তার মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়। এ ক্ষোভ থেকে শুক্রবার তিনি সায়েমকে তার বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরে সে ও তাদের দোকান কর্মচারি সায়েমের ভিডিও ধারণ করে এবং টাকা আদায় করে।”
ওসি মহসিন বলেন, “রাশেদুল ও সায়েম দুই জনই মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র। রাশেদুল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ দেখিয়ে সায়েমকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে সে নিজেই অপরাধে জড়িয়ে গেছে।
“সায়েমের বিষয়ে রাশেদুল আগেই পুলিশকে অভিযোগ করতে পারত। কিন্তু তা না করে নিজে সায়েমকে শায়েস্তা করতে গিয়ে অপরাধ করেছে। পাশাপাশি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করেও সে অপরাধ করেছে।”