সিআরবি এলাকা থেকে গভীর রাতে এক সহযোগীসহ লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার আলী হোসাইন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সম্প্রতি আদালত ভবনে একটি মারামারির ঘটনায় লিমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তদন্তে। পাশাপাশি তার বিরেুদ্ধে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে।
এসময় তার সাথে থাকা সজল দাশ (২৩) নামে একজনকে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান উপ-কমিশনার আলী হোসাইন।
২০১৩ সালের ২৪ জুন চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রেলের দরপত্র জমা নিয়ে গোলাগুলিতে জড়ায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীরা।
এতে এক শিশুসহ বাবরের অনুসারী সাজু পালিত গুলিতে মারা যায়। এরপর থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আলোচনায় আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লিমনের নাম।
এই ঘটনার পর লিমনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এই জোড়া খুনের মামলায় ২০১৮ সালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দেওয়া অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে লিমনের নাম।
ওই মামলায় লিমন এর আগে গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন পান।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাতে মামলার প্রধান অজিত বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।