রেজাউলই মেয়র প্রার্থী, বললেন সুজন

নিজে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) প্রশাসকের দায়িত্ব পেলেও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীই থাকছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2020, 12:54 PM
Updated : 12 Oct 2020, 12:54 PM

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আটকে যাওয়া এই নির্বাচন নিয়ে তাকে নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে সুজন সোমবার এক সভায় বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তার প্রার্থী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।

সুজন বলেন, “এই চট্টগ্রামে এখন আড়াইশটা অনলাইন মিডিয়া। এরমধ্যে দেড়শটা অনলাইন টিভি। কিচ্ছু লাগে না, মোবাইল একটা পকেটে থাকলে হয়। একেকদিন একেকজন একেক কথা লিখে।

“আবার দেখি কোথায় একটা নিউজ করছে, আমি নাকি মেয়র পদে আগ্রহী। আগে তো এতসব অনলাইন, ফেইসবুক বুঝতাম না। এখন দেখি। পরিষ্কার করে বলতে চাই, নেত্রী আমাদের দলের যাকে (রেজাউল করিম চৌধুরী) মনোনয়ন দিয়েছেন, তিনিই প্রার্থী। আর কেউ নন।”

এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আগের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে বাদ দিয়ে দলের মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউলকে প্রার্থী করে।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিরের পাশাপাশি সুজনও নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তবে পাননি।

গত ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ রেখে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু মহামারীর কারণে সপ্তাহ খানেক আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়।

এরপর ৪ অগাস্ট প্রশাসক হিসেবে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজনের নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রশাসক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সুজন বলেন, “নির্বাচনের ফাঁদে পড়ে এই পদে এসেছি। এর প্রতি কোনো আগ্রহ আমার ছিল না। নেত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা শতভাগ নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চাই।”

গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সত্য কথা বলুন, প্রেসক্রাইবড নিউজ করবেন না। কেউ কেউ কোনো কোনো জায়গা থেকে টাকা খেয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার চেষ্টা করছে। একদিন বিরুদ্ধে কিছু একটা লিখে ফেইসবুকে দেয়। তারপর হাজার হাজার মানুষের গালি খেয়ে লুকিয়ে যায়। আবার কয়দিন পর বের হয়। এসব শয়তানদের চিনে রাখতে হবে।”

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক পুলিন দের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সুজন।

‘অধ্যাপক পুলিশ দে স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত এই স্মরণ সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, সহ-সভাপতি সুনীল সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সুনীল সরকার, জাসদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশীষ গুহ বুলবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল, মশিউর রহমান চৌধুরী ও চন্দন ধর বক্তব্য রাখেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।

তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে।