চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা, সরতে মাইকিং

চট্টগ্রামে দুই দিনের ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2020, 06:37 PM
Updated : 25 Sept 2020, 06:37 PM

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজন সরে যাতে নিরাপদে অবস্থান গ্রহণ করতে পারে এজন্য চান্দগাও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ ও কাট্টলী সার্কেলাধীন এলাকায় ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

“ভারী বর্ষণের মধ্যে মানুষের জানমালের সুরক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে।”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বন্দর নগরীতে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলে। এতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা শুক্রবার সকালে নেমে যায়।

তবে শুক্রবার দিনভরও নগরী ও আশপাশের উপজেলাগুলোয় ভারি বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এবং সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে শনিবারও বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

জেলার মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলায় শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ সর্বোচ্চ ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই উপজেলা সংলগ্ন ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকার ১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়, ফয়’স লেক সংলগ্ন পাহাড় এবং নগরীর পাহাড়গুলোতে অবৈধ বসতিতে হাজার হাজার মানুষের বসবাস।

এর মধ্যে নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, এ কে খান পাহাড়, টাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েজ লেক আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১,২,৩ নং এলাকা, জিয়া নগর, মধ্যম নগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনী এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, ফরেস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় বেশি মানুষের বসতি।

তবে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পাহাড়ে বসবাসকারীদের তেমন আগ্রহ নেই। তারা সরে গিয়ে নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিচ্ছে।

শনিবারও বৃষ্টির আভাস

শুক্রবার রাতে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবলভাবে সক্রিয় আছে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি থেকে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বিজন রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ সম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শনিবারও বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।